বাংলা

অলিম্পিকে অ্যান্টি ডোপিং টেস্টকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো প্রসঙ্গ

CMGPublished: 2024-08-07 17:19:15
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক গেমস চলছে। শুরু হয়েছিল ২৬ জুলাই, শেষ হবে ১১ আগস্ট। ২০৬টি দেশ ও অঞ্চলের ১০৫০০ ক্রীড়াবিদ অলিম্পিক পদকের জন্য প্রতিযোগিতা করছেন। নিজেদের স্বপ্ন পূরণ ও নিজ নিজ দেশের সুনাম বৃদ্ধির জন্য এই প্রতিযোগিতা। কিন্তু, এই জমকালো অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কিছু অগ্রহণযোগ্য ঘটনাও ঘটছে।

কিছুদিন আগে, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট থমাস বাখের নেতৃত্বে, আইওসি’র কয়েকজন সিনিয়র সদস্য কঠোর শব্দযুক্ত এক বিবৃতি জারি করেন। বিবৃতিতে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি-কে পাশ কাটিয়ে মার্কিন তদন্তের নিন্দা জানানো হয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএডিএ নিয়ম উপেক্ষা করে এবং তথাকথিত "চীনা সাঁতারু ডোপিং ঘটনা" নিয়ে একতরফাভাবে তদন্ত চালিয়ে যায়, তাহলে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন শহরগুলির অলিম্পিক হোস্টিংয়ের অধিকার বাতিল করতে পারে বলেও বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়।

ডব্লিউএডিএ ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য থেকে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত ডোপিং লঙ্ঘনের শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে চীন মাত্র ০.২ শতাংশ হিস্যা নিয়ে নীচের দিকে রয়েছে। চীনা ক্রীড়াবিদদের কাছ থেকে ১৯ হাজারের বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যা তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। প্যারিস অলিম্পিক চলাকালে চীন আবারও সবচেয়ে বেশি পরীক্ষিত দলে পরিণত হয়েছে। পরীক্ষাগুলোর ফলাফলে দেখা যায় যে, চীন উচ্চ মাত্রায় ডোপিং-বিরোধী নিয়ম মেনে চলেছে।

এমন বিপুলসংখ্যক ডোপিং পরীক্ষা এবং সেই পরীক্ষার প্রতি চীনা ক্রীড়াবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রমাণ করছে যে, চীন সবসময় ডোপিং-বিরোধী কাজে সহযোগিতা করে থাকে। আন্তর্জাতিক সাঁতারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়ার্ল্ড সুইমিং-এর তথ্য অনুসারে, পয়লা জানুয়ারি থেকে প্যারিস অলিম্পিকের শুরু পর্যন্ত, চীনা সাঁতারুদের গড়ে ২১টি পরীক্ষা হয়েছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়ান ও আমেরিকান সাঁতারুদের জন্য গড়ে মাত্র ৪টি ও ৬টি পরীক্ষা করা হয়েছে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn