থিয়ানশানের অসাধারণ ও স্থানীয় বৈশিষ্ট্যময় রীতিনীতি
এই গ্রীষ্মে, সিনচিয়াংয়ের থিয়ানশান পাহাড়ের দক্ষিণ ও উত্তর দিকে অবস্থিত তুর্পান, সবুজ ঘাসে ভরপুর ইলি নদী উপত্যকা, গানের ভূমি আলতায়, ও মোহনীয় কাশগর দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
২০২৩ সালে সিনচিয়াংয়ে আসা পর্যটকের সংখ্যা ও পর্যটন খাতে আয় ছিল আগের বছরের চেয়ে যথাক্রমে ১১৭ ও ২২৭ শতাংশ বেশি। এটি একটি নতুন রেকর্ড। চলতি বছর সিনচিয়াংয়ে আসা পর্যটকের সংখ্যা ও পর্যটন খাতে আয় অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তুষারাবৃত পর্বত দ্বারা ঘেরা বিস্তীর্ণ তৃণভূমি, আকাশে ঝুলছে রংধনু, এবং গবাদি পশু ও ভেড়ার গানের শব্দ...গত মে মাসে নারী লেখক লি চুয়ানের লেখা সংকলন ‘আমার আলতায়’ থেকে অভিযোজিত একই নামের টিভি সিরিজ চীনে জনপ্রিয়তা পায়। ওয়েবসাইটে আলতায়-সম্পর্কিত সার্চের সংখ্যা ৫ গুণ বেড়ে যায়। উরুমুছি থেকে আলতায় যাওয়ার বিমানের টিকিটের বুকিংয়ের সংখ্যাও গত এপ্রিলের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
আসলে আলতায় সিনচিয়াংয়ের প্রথম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। কাশগর চীনা পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গত মে দিবসের ছুটিতে কাশগরে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা ২৪ লাখ পার্সনটাইস ছাড়িয়ে যায়, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১৬.৯ শতাংশ বেশি।
আসলে সিনচিয়াং অব্যাহতভাবে সংস্কৃতি ও পর্যটনের সমন্বিত উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি সিনচিয়াং সাংস্কৃতিক ও পর্যটন ব্যুরোর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কমিটির সদস্য ও উপপ্রধান ইউ চিয়ে বলেন, যদিও কাশগর ও আলতায় অনুষ্ঠান ও টিভি সিরিজের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তবুও আসল কারণ হলো এখানে অসাধারণ পর্যটনসম্পদ ও দৃশ্য আছে। সিনচিয়াংয়ের বৈশিষ্ট্যময় জাতিগত শৈলী বিভিন্ন স্থানের পর্যটকদেরকে আকর্ষণ করে।