একশ’ বছর আগে, একজন প্যারিস অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন তার জীবন চীনকে উৎসর্গ করেছিলেন
১৯২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে লি এ রুই একশ’ মিটার স্বর্ণপদকের জন্য সবচে শক্তিশালী প্রতিযোগী ছিলেন। তবে অলিম্পিক সময়সূচি দেখায় যে, পুরুষদের ১০০ মিটার এবং ৪ X১০০ মিটার রিলে প্রতিযোগিতার তারিখগুলো তার ধর্মীয় কার্যকলাপের সাথে সাংঘর্ষিক ছিল, তাই তিনি এই দুটি ইভেন্ট পরিত্যাগ করার এবং পরিবর্তে পুরুষদের ২০০ মিটার এবং ৪০০ মিটারে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই সিদ্ধান্তটি সেই সময়ে প্রচুর সমালোচনা সৃষ্টি করেছিলো। তিনি এই দুটি ইভেন্টে ভাল ছিলেন না এবং প্রতিযোগিতার জন্য তার কাছে মাত্র কয়েক মাস সময় ছিল।
কিন্তু লি এ রুই শেষ পর্যন্ত পুরুষদের ২০০ মিটার ব্রোঞ্জ পদকই জিতেছিলেন, আর ৪৭.০৬ সেকেন্ডের ফলাফল নিয়ে পুরুষদের ৪০০ মিটার বিশ্ব রেকর্ডও ভেঙেছিলেন।
ফুল, করতালি, এবং সম্মান একের পর এক আসে, যা’হোক, লি এ রুই আরেকটি আশ্চর্যজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন - এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে ডিগ্রি পাওয়ার পর ২৩ বছর বয়সে তার ক্রীড়া জীবনের শীর্ষে থাকা অবস্থায় তিনি তাঁর জন্মস্থান থিয়েনচিনে ফিরে আসেন এবং এখানে বসতি স্থাপন করেন।
অনেক লোক এখনও লি এ রুইয়ের সিদ্ধান্ত দেখে বিস্মিত হন। থিয়েনচিন স্পোর্টস মিউজিয়ামের কর্মী চাও ইয়ান বিশ্লেষণ করেছেন যে, একদিকে তার পিতামাতা থিয়েনচিনে থাকেন, তাই তিনি ফিরে এসেছেন এবং অন্যদিকে তিনি তার পরিবারকে আবার একত্রিত করার আশা করছেন; তিনি মনে করেন যে, তার ভবিষ্যত এবং জীবন কেবল চীনেই বেশি অর্থবহ হবে। যেমন লি এ রুই একবার বলেছিলেন: যদিও প্রত্যেকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একই পথে রয়েছে বলে মনে হয়, তবে প্রত্যেকের কাজ আলাদা, তাই জীবনের অর্থও আলাদা।
লি এ রুই থিয়েনচিনে ফিরে আসার পর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। তিনি রসায়ন এবং গণিত শেখান, ক্রীড়া প্রশিক্ষক হন এবং অলিম্পিক শিখা ছড়িয়ে দেন। তার প্রচেষ্টায় স্কুলটি ফুটবল দল, বাস্কেটবল দল, বেসবল দল, টেবিল টেনিস দল, টেনিস দল, ভলিবল দল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করে, যা থিয়েনচিনের সবচে জনপ্রিয় এবং উচ্চ-স্তরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিণত হয়।