একশ’ বছর আগে, একজন প্যারিস অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন তার জীবন চীনকে উৎসর্গ করেছিলেন
একশ’ বছর পর অলিম্পিক গেমস আবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে অনেক অগ্রগামী অনুশীলন ছিল, যেমন প্রথমবারের মতো অলিম্পিক নীতিবাক্য ‘আরো দ্রুত, উচ্চতর ও শক্তিশালী’ প্রবর্তন এবং প্রথমবারের মতো অলিম্পিক ভিলেজের ধারণার প্রবর্তন। একই সময় অনেক কিংবদন্তি সুপারস্টারও এই অলিম্পিক গেমসে আবির্ভূত হয়েছেন, উদাহরণস্বরূপ, ফিনিশ ট্র্যাক এবং ফিল্ড অ্যাথলিট পাভো জোহানেস নুরমি এক অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো পাঁচটি স্বর্ণপদক জেতেন।
চীনাদের কাছে সেই অলিম্পিকের সবচে বড় তারকা একজন ব্রিটিশ অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। তিনি একটি বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলার সাথে পুরুষদের ৪০০ মিটার চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন, তার অলিম্পিকের গল্পের ভিত্তিক অভিযোজিত ‘চ্যারিয়টস অফ ফায়ার’ শিরোনামে মুভিটি অস্কারের চারটি পুরস্কার পেয়েছে। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতে হয় যে, তিনি চীনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং মারা গিয়েছিলেন, তিনি তাঁর জীবন চীনের জন্য উত্সর্গ করেছিলেন। তার নাম এরিক হেনরি লিদ্দেল, চীনা নাম লি এ রুই। বর্তমানে থিয়েনচিনের স্পোর্টস মিউজিয়ামে, লি এ রুইয়ের জীবন এবং কিংবদন্তির সাথে পরিচিত একটি বিশেষ অধ্যায় রয়েছে।
লি এ রুই ১৯০২ সালে চীনের থিয়েনচিনে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার বাবা-মা উভয়েই স্কটিশ ছিলেন। যখন তিনি ৫ বছর বয়সী ছিলেন, তখন তিনি স্কটল্যান্ডে শিক্ষার জন্য ফিরে যান। ছোটবেলায় তিনি ক্রীড়ায় প্রতিভা দেখিয়েছিলেন। তিনি স্কুলের ফুটবল দল এবং ক্রিকেট দলের অধিনায়কও হন। ১৯২০ সালে, লি এ রুই এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য প্রবেশ করেন এবং তার ক্রীড়া প্রতিভা আরও বিশিষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি স্কটল্যান্ড এবং এমনকি যুক্তরাজ্যে অনেকবার স্প্রিন্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন।