পর্বতারোহন গাইড লি ইউয়েন
আজ, মুজতাগ শিখরের দিকে যাওয়ার রাস্তাটি সমতল ও সোজা এবং পাহাড়ের গোড়ায় পৌঁছেছে। স্থানীয় সরকারের সহায়তায় ১১০ মিলিয়ন ইউয়ানের বিনিয়োগে মুজতাগ পর্বতারোহণ জেলার নির্মাণ কাজও শুরু হতে চলেছে এবং পর্বতারোহণের পরিষেবার নিশ্চয়তা ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ হয়ে ওঠে।
লি ইউয়েন আরও তরুণদের দলে যোগ দিতে দেখে খুব খুশি হয়েছেন। কিন্তু তিনি মনে করেন, পাহাড়ে আরোহণ করা শুধু পা থাকলে সম্পন্ন করা সহজ ব্যাপার নয়। যদিও তিনি ইতিমধ্যেই পর্বতারোহণের মৌসুমের কর্মপ্রবাহের সাথে খুবই সুপরিচিত, তবুও তিনি আগ্রহী পর্বতারোহীদের মুখোমুখি হওয়ার সময় বিশদভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। তিনি বারবার গতি, শ্বাস-প্রশ্বাস, ছন্দ এবং সারির মতো প্রযুক্তিগত বিবরণের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম না থাকলে পর্বতারোহণ এতটা জনপ্রিয় হবে না। কিন্তু এই খেলাটিকে প্রথমে জীবন ও প্রকৃতিকে সম্মান করতে শিখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, মুজতাগ পিকের হাইপোক্সিয়া, নিম্নচাপ, শক্তিশালী অতিবেগুনি রশ্মি এবং নিম্ন তাপমাত্রার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের বয়ে আনা অনেক অসুবিধা আছে।’
সিনচিয়াংবাসী হিসেবে লি ইউয়েন বলেন, ‘সিনচিয়াংয়ের সমৃদ্ধ পর্বতারোহণ সম্পদ রয়েছে, কিন্তু পর্বতারোহণকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে এটি অগ্রভাগে নেই। পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের সাথে তুলনা করলে এ খেলায় অংশগ্রহণকারী সিনচিয়াংবাসীদের সংখ্যা বেশি নয়।’ তার উত্সাহে আরো বেশি লোক এই খেলায় অংশ নেবে এবং সিনচিয়াংয়ের পর্বতারোহরণের আরো উন্নতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
লিলি/হাশিম