পর্বতারোহন গাইড লি ইউয়েন
সেই সময় সিনচিয়াংয়ের বাণিজ্যিক পর্বতারোহণ কার্যক্রম সবে শুরু হয়েছিল। চীনের খুব কম লোকই মুজতাগ পিকের জন্য প্রত্যন্ত দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ে আসতেন, শুধুমাত্র কিছু বিদেশী এটি পছন্দ করতেন। লি ইউয়েন যখন এই পর্বতারোহণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তখন তার বয়স ৩০ বছরের বেশি ছিল। তার কাছে পর্যাপ্ত তহবিল বা গ্রাহকদের একটি স্থিতিশীল উত্স ছিল না। একজন যুবকের মতো সবচে প্রাথমিক কাজ থেকে শুরু করতে বাধ্য হন তিনি। যেমন, বিদেশী পর্বতারোহণ উত্সাহীদের জন্য লাগেজ বহন এবং পরিবহন করা।
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘সে সময় আমার মাসিক বেতন ছিল মাত্র ১৬০০ ইউয়ান রেনমিনপি এবং আমি সকালের নাস্তাও খেতে পারতাম না। সেই সময়ে আমি কল্পনা করিনি যে, পর্বতারোহণ শিল্প এতটা বিকাশ করতে পারে।
তিনি পর্বত আরোহণ পছন্দ করেন। এই কাজটি তাকে পাহাড়ে আরোহণের আরও সুযোগ দেয় এবং তিনি খুবই সন্তুষ্ট বলে জানান।
কেন তিনি পর্বত আরোহণ পছন্দ করেন? ইতোমধ্যেই ৫২ বছর বয়সী লি ইউয়েনের জন্য, পর্বত আরোহণ আর শুধুমাত্র পর্বত আরোহণ নয়।
তিনি বলেন, ‘তুষার-ঢাকা পাহাড়ে, প্রত্যেককে স্ক্র্যাচ থেকে শুরু করতে হবে, প্রতিটি দক্ষতা এবং প্রতিটি খুঁটিনাটি নিখুঁত করতে হবে, এবং তাদের দাঁত-কষে উপরে উঠতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি একটি খুব বড় পরীক্ষা এবং চ্যালেঞ্জ, কিন্তু আপনি এটি অভিজ্ঞতা করার পর একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ পেতে পারেন। আপনি জীবনকে কীভাবে দেখেন সে সম্পর্কে নানা দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে পারেন।’
পর্বত আরোহণের কারণে লি ইউয়েন বহু ধরণের মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছেন এবং তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, জীবনযাপনের অনেক উপায় আছে।
২০১৬ সালের দিকে, দেশীয় পর্বতারোহণ উন্নয়নের ‘দ্রুত পথে’ প্রবেশ করেছে। গত দুই বছরে, সিছুয়ানের সিকুনিয়াং পর্বত এবং ইউনানের হাবা স্নো মাউন্টেনকে প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে প্রবেশ-স্তরের তুষার পর্বতগুলো নানা সামাজিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শেয়ার করার পরে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। পর্বতারোহণে চীনের অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।