শায়ানসি প্রদেশের ভ্রমন নির্দেশনাকারী ইউয়ে পাওচেং
ইউয়ে পাওচেং বলেন, ‘গ্রামের লাউড স্পিকারে প্রতিদিন বেলা ১২টায় সময়মতো ইংরেজি শোনাতো। একটি ইংরেজি, তারপর একটি চীনা ভাষা। সেই সময় থেকে, আমি ইংরেজিতে প্রতিটি বাক্য এবং চীনা ভাষায় প্রতিটি বাক্য শুনতাম। আমি আরও শিখতে চেয়েছিলাম, তাই একটি অভিধান কিনতে চেয়েছিলাম। তবে পরিবার খুব দরিদ্র বলে অভিধান কেনার টাকা আমার ছিলো না। আমার মনে আছে যে, আমি জুনিয়র হাইস্কুলের তৃতীয় গ্রেডের মধ্যে ছিলাম এবং আমার বাবা-মা অনেকদিন পর টাকা সঞ্চয় করে আমাকে একটি অভিধান উপহার দিয়েছিলেন।
তারপর ইউয়ে পাওচেং অভিধানটিকে তার প্রিয় জিনিস হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি ইচ্ছামতো সি’আন ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। ১৯৯১ সালে, তিনি পরীক্ষায় পাস হয়ে একটি ট্যুর গাইড সার্টিফিকেট অর্জন করেন এবং ছিন রাজবংশীয় আমলের সৈন্য ও ঘোড়ার টেরাকোটার গল্প বিদেশি পর্যটকদেরকে তুলে ধরেন।
সি’আনের একটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান হিসেবে ছিন রাজবংশীয় আমলের সৈন্য ও ঘোড়ার টেরাকোটার ভ্রমণের শীর্ষ সময়ে দিনে ৬০ হাজারেরও বেশি পর্যটক আসে। চীনা ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও বেশি সংখ্যক বিদেশী বন্ধুরা এখানে আসে। ১৯৯৮ সালে যখন লিন থোং কালচারাল অ্যান্ড ট্যুরিজম ব্যুরো ইন্ডিভিজুয়াল ট্যুরিস্ট সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, তখন ইউয়ে পাওচেং বিদেশিদের জন্য একমাত্র ট্যুর গাইড ছিলেন। আজ, এখানে শত শত ট্যুর গাইড বিদেশী অতিথিদের সেবা দিচ্ছেন।
ইউয়ে পাওচেং বলেন, আমাদের পরিষেবার সুবিধাগুলো আন্তর্জাতিকীকরণে দিকে চলে যাচ্ছে। চীনে আসার আগে এবং পরে বিদেশী অতিথিদের সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারণা রয়েছে। তারা কখনই ভাবেননি যে, চীনে এত সুন্দর পাহাড় ও নদী রয়েছে এবং চীন এত সমৃদ্ধ ও সুন্দর।
সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে জন্মস্থানের ইতিহাস বলতে খুব সুদক্ষ ইউয়ে পাওচেং। তিনি তার আকর্ষণীয় শৈলী এবং আন্তরিক পরিষেবা দিয়ে বিদেশী পর্যটকদের মুগ্ধ করেছেন এবং করছেন। ৩৩ বছর ধরে ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করলেও তিনি নিজেকে উন্নত করতে চান। তিনি প্রতিদিন অধ্যয়নে অভ্যস্ত। ছিন রাজবংশীয় আমলের সৈন্য ও ঘোড়ার টেরাকোটা সংক্রান্ত বিষয়বস্তুকে প্রতিনিয়ত পরিপূরক ও আপডেট করেন। তিনি আশা করেন যে, তার ইংরেজি ব্যাখ্যার মাধ্যমে আরও বিদেশী পর্যটক ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতির আকর্ষণীয় শক্তি উপলব্ধি করতে পারবেন।