ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের চীন সফর ও প্রসঙ্গকথা
বৈঠকে তো লাম বলেন, “ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদ গ্রহণের পর, এটা আমার প্রথম সফর ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার প্রথম চীন সফর। এতে প্রতিফলিত হয় যে, আমাদের পার্টি ও দেশ চীনের সাথে সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয় এবং চীনকে পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে রাখে। চীনের পার্টি ও সরকারের সিনিয়র নেতাদের সাথে আমি ও ভিয়েতনামের সিনিয়র নেতারা ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চাই এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে গভীরতর করতে চাই। কমরেড ও ভাই হিসেবে আমরা সবসময়, চীনের প্রতিটি ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রশংসা করি। আমরা আবার জোর দিয়ে বলি, ভিয়েতনাম দৃঢ়ভাবে ‘এক-চীন নীতি’ মেনে চলবে; তাইওয়ান চীনের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
আলোচনার পর উভয় পক্ষ যৌথভাবে পার্টি স্কুল, যোগাযোগ, শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনীতি, শুল্ক, স্বাস্থ্য, সংবাদ সংস্থা ও মিডিয়া, স্থানীয় এলাকা, জনগণের জীবিকাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নথি স্বাক্ষর করে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর সি চিন পিং ও তো লাম একটি ছোট আকারের চায়ের আড্ডায় বসেন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেন।
আলোচনার আগে তো লাম ও ভিয়েতনামি ফার্স্টলেডির জন্য মহাগণভবনের পূর্ব দরজায় সি চিন পিং ও চীনের ফার্স্টলেডি ফাং লি ইয়ুয়ান একটি স্বাগত অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
চীনে তো লামের সফরকালে উভয় পক্ষ একটি যৌথ ঘোষণাও প্রকাশ করে। এতে দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক উন্নয়ন ও চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।