বাংলা

জাপানি সাবেক সেনার অনুতাপের বিষয়ে জাপানের রাজনৈতিক মহলের একমত হওয়া উচিত

CMGPublished: 2024-08-16 23:58:35
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

শুধুমাত্র ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। তবে, আমরা দেখেছি, ১৫ অগাস্ট বা অন্য সময় জাপানের কিছু ‘ডানপন্থি’ রাজনীতিক প্রকাশ্যে ইয়াসুকুনি সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। ‘ডানপন্থিদের’ প্রচেষ্টায়, জাপানের ইতিহাসের পাঠ্যবইয়ে চীনে আগ্রাসনের যুদ্ধ বিষয়ক বিষয়গুলো মুছে দেওয়া হয়েছে। জাপানের পাঠ্যবইয়ে ‘চীনকে আগ্রাসন করা যুদ্ধ’ ও ‘নানচিং গণহত্যাকে’ পরিবর্তন করে ‘জাপান-চীন যুদ্ধ’ ও ‘নানচিং ঘটনা’ লেখা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে হেদেও শিমিচু সমালোচনা করেছেন। তিনি জানান, যুদ্ধ অনেক করুণ, তবে জাপান কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ড মানুষকে ক্ষুব্ধ করে।

এ ছাড়া, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, জাপান সরকার ভুয়া ‘চীনা হুমকি তত্ত্ব’ বারবার প্রচার করে আসছে। এই ভিত্তিহীন অজুহাতে তারা জাপানের ‘শান্তিপূর্ণ সংবিধান’ অব্যাহতভাবে লঙ্ঘন করেছে। তারা পরিকল্পনা করেছে জাপানের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ বাড়িয়ে ২০২৭ সাল নাগাদ দেশের জিডিপি’র ২ শতাংশ পরিমাণ করা হবে। একাধিক কর্মকাণ্ডে দেখা যায়, জাপান আবারও সামরিক বড় দেশের পুরানো পথে ফিরে যেতে চায়, যা এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য নতুন হুমকি সৃষ্টি করেছে।

হিদেও শিমিচু বলেছেন, ‘যদি শিশুরা প্রকৃত ইতিহাস না জানে, যুদ্ধ কি ধরনের বিভৎস ও দুঃখজনক পরিস্থিতি তৈরি করে, তাও জানতে পারবে না; এ অবস্থায় জাপানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’ এ ধরনের অনুশোচনার বিষয়ে জাপানের রাজনীতিক মহলের একমত হাওয়া উচিত। জাপানের কিছু মানুষ আবারও সামরিকবাদ ফিরিয়ে আনলে ইতিহাসের শাস্তি ফিরে আসবে। এমন আচরণ জাপানের জন্য দুর্যোগে বয়ে আনবে।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn