চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রামীণ উন্নয়নে বুদ্ধিমান ও উদ্ভাবনী চেতনা কাজে লাগাচ্ছে
চীনের কুইচৌ প্রদেশের চেনফেং জেলার ৪ নম্বর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক চাং হান ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে হিপকপ নৃত্য শিখতে ব্যস্ত। ৩ বছর আগে তিনি স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক হিসেবে এ স্কুলে আসেন। শিক্ষক চাংয়ের মতো আরও অনেক স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক কুইচৌ প্রদেশের বিভিন্ন স্কুলে কাজ করে থাকেন। তাদের মূল কাজ দূরবর্তী গ্রামাঞ্চলের স্কুলে হিপহপসহ বিভিন্ন আধুনিক নৃত্য শেখানো। সিরেন শহরের একটি গ্রামাঞ্চলের স্কুলে নৃত্য শিক্ষক হিসেবে কাজ করে থাকেন শিক্ষক লং ছাও। শহরের কেন্দ্রীয় এলাকা থেকে এ গ্রামাঞ্চলের স্কুলের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। শিক্ষক লং ছাও বলেন, যখন প্রথমবারের মতো এ স্কুলে আসেন তখন ছাত্রছাত্রীরা দূরে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে দেখছিল। তবে, কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
এ গ্রামীণ স্কুলে মোট ৬টি শ্রেণীতে শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ নৃত্য দলে যোগ দিয়েছে। এ স্কুলে কোনো বিশেষ নৃত্যের ক্লাসরুম নেই। পরে শিক্ষক লংয়ের নৃত্য প্রতিষ্ঠান স্কুলের নৃত্যের ক্লাসরুমের বড় আয়না, কাঠের ফ্লোর স্থাপন করে।
স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক চাং হান এবং তাঁর সহকর্মীরা প্রতি সপ্তাহে কুইচৌ প্রদেশের ১০টিরও বেশি গ্রামীণ স্কুলে গিয়ে নৃত্যের ক্লাস নেন। তাঁর কর্মজীবন অনেক ব্যস্ততায় কাটে। তাই মেয়ের সাথে থাকার সময় খুবই কম পান। একবার তিনি মেয়ের সাথে বাসায় টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখছিলেন। তখন মেয়ে বলল, স্কুলের অনেক ছাত্রছাত্রী জানে তার মা গ্রামীণ স্কুলে নৃত্যের ক্লাস নেয়। এটি মেয়ের জন্য বেশ গর্বের ব্যাপার। তখন মা চাং হান মেয়ের কথা শুনে বেশ আনন্দিত হন।
শিক্ষক লং ছাও গ্রামীণ স্কুলের নৃত্যের ক্লাসও বেশ পছন্দ করেন। তিনি বলেন, “আমিও গ্রামে বড় হয়েছি। তাই গ্রামীণ স্কুলে বাচ্চাদের সাথে নৃত্য আমার জন্য আনন্দের ব্যাপার। তাদের হাসিমুখ দেখাও অনেক আনন্দের।”