চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রামীণ উন্নয়নে বুদ্ধিমান ও উদ্ভাবনী চেতনা কাজে লাগাচ্ছে
অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মনে করেন, গ্রামের উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাঁরা বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী ধারণা পেশ করেছেন। যেমন, ফিংকু এলাকা পিচ ফল বেশি উত্পন্ন হয়। তবে, জমি থেকে পিচ সংগ্রহের সময় অনেক পিচ নষ্ট হয়। সংগ্রহের সময় যদি পিচের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এর বিক্রয়মূল্য কমে যায়। বেইজিং শিল্প ও ব্যবসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইন প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াং শুও এবং তার সহপাঠীরা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পিচগুলো ওয়াইন তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। এখন ফিংকু এলাকায় কেবল তাজা পিচ বিক্রি হয় না, বরং পিচ ওয়াইন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
শিক্ষার্থীদের পরামর্শের ভিত্তিতে, ফিংকু এলাকার তাহুয়াশান জেলার দায়িত্বশীল ব্যক্তি স্থানীয় ওয়াইন কারখানার সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি ওয়াং শুও ও তার সহপাঠীদের পিচ থেকে ওয়াইন তৈরি বিষয়ে গবেষণার সুযোগ করে দেন। শিক্ষার্থীরা হলুদ পিচ বেছে নিয়ে ওয়াইন তৈরির চেষ্টা করে এবং তাতে সফলও হয়। ইন্টার্নশিপের সমাপনী অনুষ্ঠানে তারা নিজেদের তৈরি ওয়াইন বিচারকদের সামনে পেশও করে।
তা ছাড়া, বেইজিং সিনেমা একাডেমির দুটি কর্মদলের যৌথ প্রয়াসে এক মাসের মধ্যে ‘পিচ উপত্যকা ভ্রমণ’ শীর্ষক ভিডিওচিত্র নির্মিত হয়। তাঁরা ফিংকু এলাকার পিচ-বাগানের সাথে প্রাচীনকালের ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস ‘পশ্চিমে ভ্রমণ’-এ বর্ণিত স্বর্গের পিচ বাগানের তুলনা করেন। তাদের এ ভিডিওচিত্র গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
বেইজিং কৃষি একাডেমির পর্যটন প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াং ইয়ানের জন্মস্থান ফিংকু এলাকার পিইতুলেহ্য গ্রামে। তাই এবারের ইন্টার্নশিপে জন্মস্থানের উন্নয়নে নিজের অবদান রাখার সুযোগ পান তিনি। ক্লাসের সহপাঠীদের সাথে পরামর্শ করে তিনি গ্রামের কৃষিপণ্যের জন্য ব্র্যান্ড ডিজাইন করেন। এভাবে সবাই দ্রুত সংশ্লিষ্ট কৃষিপণ্যের সাথে পরিচিত হয় এবং এর বিক্রিও অনেক বাড়ে। তাঁরা রসুন ও মরিচের আকৃতিতে একটি লোগো ডিজাইন করেন। কারণ, এ গ্রামে রসুন ও মরিচের চাষাবাদ অনেক বেশি হয় এবং এর মানও বেশ ভালো।