চীনের নতুন পেশা কৃষি ডিজিটাল প্রযুক্তিবিদ
নির্দিষ্ট ও নির্ভুলভাবে মাছ খাওয়ানোর পদ্ধতিতে উত্পন্ন মাছের স্বাদ বেশ ভালো। যখন মাছের ওজন ৫০০ গ্রামে পৌঁছে, তখন পুকুর থেকে তুলে নিয়ে বাজারে বিক্রি করা যায়। অতীতকালে মাছের ওজন মাপ করার জন্য পুকুর থেকে মাছগুলো তুলে নিতে হতো। যেগুলো নির্দিষ্ট মাপের না, সেগুলোকে আবার পুকুরে ছেড়ে দিতে হতো। বারবার পুকুর থেকে মাছ তোলায় সেগুলো সহজে রোগে আক্রান্ত হতো। এ সমস্যা মোকাবিলায় লি মাই এবং তার সহকর্মীরা পানির নিচেই মাছগুলোর স্টেরিওস্কোপিক মনিটরিং ব্যবস্থা স্থাপনে চেষ্টা করেন। তারা সর্বপ্রথমে বিভিন্ন সাইজের মাছ ধরে ছবি তোলেন এবং এআই ব্যবস্থায় বিভিন্ন সাইজের মাছের ওজনের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালান। তারপর বিভিন্ন মানের অস্বচ্ছ পানিতে প্রতিসরণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পানির নিচেই মাছের সঠিক সাইজ পরিমাপের ব্যবস্থা নেন। এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মাছ লালনপালন করা যায় এবং পরিসংখ্যান অনুসারে কৃষিক্ষেতের শাকসবজির সঠিক পরিমাণের সার ও পানি দেওয়া সম্ভব হয়। এ সম্পর্কে লি মাই বলেন, লিয়াংপি এলাকার মাছ ও শাকসবজি ডিজিটাল কারখানায় মাছ বড় হওয়ার সময় ঐতিহ্যিক পদ্ধতির চেয়ে প্রায় অর্ধেক পর্যায় সঞ্চয় করা হয় এবং ম্যাশ ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। একই সাইজের মাছ পুকুরে মাছ লালনপালনের সংখ্যা ঐতিহ্যিক পুকুরের চেয়ে ১০ গুণেরও বেশি এবং উপর তলায় শাকসবজি উত্পাদন পরিমাণও সাধারণ কৃষিক্ষেতের চেয়ে ১০ গুণেরও বেশি। এখন এআই লালনপালন ব্যবস্থা যেন অভিজ্ঞ ও দক্ষ কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতো। তবে, মাছ ও শাকসবজির কারখানায় সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামের মেরামতকারী দরকার। ছংছিং মহানগরের কৃষি বিজ্ঞান একাডেমি এ উপলক্ষ্যে এআই কারখানার ডিজিটাল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার চেষ্টা করে, যাতে মাছ ও শাকসবজি লালনপালন সরঞ্জামের অনলাইন চেকআপ, স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ, উত্পাদন রেকর্ড এবং বুদ্ধিমান প্রাথমিক সতর্কতা জারি করা সম্ভব হয়। চীনের বিভিন্ন এলাকার কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সহকর্মীরা লি মাই’র ডিজিটাল কারখানা পরিদর্শন করতে আসেন। তারাও আরও বেশি জায়গায় এআই কারখানা স্থাপন করতে চান। ভবিষ্যতে এ কাজের ব্যাপক উন্নয়ন নিয়ে বেশ আশাবাদী লি।