২০ বছর ধরে বাঘ লালনের গল্প
গত ২০ বছরে ইনস্টিটিউটে মোট ৭৪টি দক্ষিণ চীন বাঘের জন্ম হয়েছে, যার বেঁচে থাকার হার ৭০ শতাংশ। প্রথম তিনটি প্রজননকারী বাঘ থেকে শুরু করে আজকের বড় পরিবার পর্যন্ত, লুও হোং সিং’র মতো বাঘের প্রজননকারীরা শিশুদের মতো দক্ষিণ চীনের বাঘের ভালো যত্ন নেন এবং এদের সুরক্ষার পথে এগিয়ে চলেন।
প্রজনন মাত্র সূচনা। কীভাবে বাঘের শাবককে বেড়ে উঠতে দেওয়া যায় এবং সত্যিকারের ‘বনের রাজা’ করে তোলা যায়, সেটি গুরুত্বর্পর্ণ বিষয়। এটি ‘বাঘের পিতা এবং বাঘের মাতা’র জন্য একটি নতুন বিষয় দাঁড়িয়েছে।
ছেন থেং থেং, যিনি ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ফুচিয়ান এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটিতে ক্লিনিকাল ভেটেরিনারি মেডিসিনে মাস্টার্সের ছাত্র এবং ৯ বছর ধরে এখানে কাজ করছেন। তিনি আমাদের সাংবাদিককে বলেন, সমস্ত দক্ষিণ চীনের বাঘ তাদের নিজের মা-বাঘ দ্বারা লালিত হয় না। কিছু মাদি বাঘ তাদের নবজাতককে উপেক্ষা করে। এই ঘটনাটিকে ‘শাবক পরিত্যাগ’ বলা হয়। অতএব, এই পরিত্যক্ত বাঘের শাবকদের কৃত্রিমভাবে খাওয়ানো প্রয়োজন। যদি এই বাঘের বাচ্চাগুলো মা বাঘের বুকের দুধ পান করতে না পারে, তাহলে তাদের কী ধরনের দুধ খাওয়ানো উচিত? এটি প্রশিক্ষণ বেসে "বাঘের পিতা এবং বাঘের মাতা’র সামনে আরেকটি সমস্যা হয়ে উঠেছে।
ছেন থেং থেং বলেন, আমরা আগে অনলাইনে বিড়ালের দুধের গুঁড়া, কুকুরের দুধের গুঁড়া এবং পোষা প্রাণীর দুধের গুঁড়া কিনতাম এবং আমরা ছাগলের দুধের গুঁড়াও খাওয়াতাম। আমরা দেখতে পেলাম যে, খাওয়ানোর এক সপ্তাহ পর বাঘের বাচ্চার খুব গুরুতর লোম পড়ার পরিস্থিতি দেখা দেয়। পরে আমরা ভাবলাম যে, শাবকগুলোকে খাওয়ানোর জন্য বাঘের দুধের গুঁড়া তৈরি করা যায় কি না? আমরা বাঘের দুধ সংগ্রহ করে পেশাদার পরীক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাই। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা বাঘের দুধের গুঁড়া তৈরির ব্যবস্থা করি।”