২০ বছর ধরে বাঘ লালনের গল্প
দক্ষিণ চীনের বাঘ একটি বাঘের উপ-প্রজাতি, যা চীনের জন্য অনন্য এবং সবচেয়ে বিপন্ন বাঘের উপপ্রজাতি। বর্তমানে দেশে মাত্র ২০০টির কিছু বেশি অবশিষ্ট রয়েছে।
ফুচিয়ান প্রদেশের লুং ইয়ান শহরের শাংহাং উপজেলার মেইহুয়া পর্বতে, রয়েছে চীন দেশের সবচেয়ে বড় দক্ষিণ চীন বাঘের প্রজনন এবং প্রশিক্ষণ বেস। এখানে ‘বাঘের পিতা এবং বাঘের মাতা’ দক্ষিণ চীনের বাঘকে রক্ষা করার জন্য পাহাড়ে শিকড় গেড়েছেন এবং তাদের কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য সহাকারে এবং ভালোবাসার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ চীনের বাঘগুলো রক্ষা করার গল্প লিখছেন। এদের একজন লুও হোং সিং আর অন্যজন হলেন ছেন থেং থেং।
১৯৯৮ সালে লুং ইয়ান শহর সর্বপ্রথমে চীনজুড়ে দক্ষিণ চীন বাঘ সুরক্ষার প্রকল্প চালু করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে। মেই হুয়া পর্বতে দক্ষিণ চীন বাঘ প্রজনন গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রথমে মাত্র চারজন কর্মচারী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং লুও হোং সিং তাদের একজন। অনভিজ্ঞতার কারণে, লুও হোং সিং বাঘের সংস্পর্শে এসে অনেক আঘাত পেয়েছিলেন।
বসন্ত চলে যাওয়া এবং শরতের আগমনের সাথে সাথে, বাঘের সাথে খেলার সময় যে ক্ষতগুলো থেকে যায়, তা স্থায়ী দাগে পরিণত হয়। ইনস্টিটিউটের কর্মীরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে দক্ষিণ চীনের বাঘ সম্পর্কে তাদের বোঝার উন্নতি করেছেন এবং প্রজনন ও সুরক্ষার কাজ ধীরে ধীরে উন্নত করেছেন।
ফু চিয়ান প্রদেশের মেই হুয়া পবর্তে দক্ষিণ চীন বাঘ প্রজনন গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক লুও হোং সিং বলেন, “আমি বাঘের আচরণ পর্যবেক্ষণ করার জন্য সারাদিন বাঘের কাছাকাছি বসে থেকেছি এবং দেখতে পেয়েছি যে পুরুষ এবং মহিলা বাঘ উভয়েরই বাছাই থাকে। তারপর আমরা দু’বাঘের প্রায়শই খাঁচা বিনিময় করতাম, যাতে একে অপরের গন্ধের সাথে পরিচিত হতে পারে। তারপর আমরা তাদের খাবারে যথাযথ পুষ্টি যোগ করার চেষ্টা করেছি এবং অবশেষে ২০০৩ সালে তারা সফলভাবে প্রজনন করেছে।”